, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


'ভারতকে হারিয়ে উদযাপনের কিছু নেই, ফাইনাল বাকি'

  • আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৪ ০৯:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৪ ০৯:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
'ভারতকে হারিয়ে উদযাপনের কিছু নেই, ফাইনাল বাকি'
‘উদযাপন থামানোর চেষ্টা করেছি। এটা গ্রুপ ম্যাচ। এত উদযাপনের কিছু নেই। ফাইনাল বাকি আছে। সব মিলিয়ে খুব আনন্দিত। ম্যাচে আত্মবিশ্বাস দরকার ছিল। আগের ম্যাচে ওরা ১০-০ গোলে জিতেছিল। এই সাইকোলজিক্যাল ব্যাপারটার সঙ্গে  জিতে আসাটা দরকার ছিল। আমার মনে হয়, এটা আত্মবিশ্বাস দেবে।’ ভারতকে নাটকীয়ভাবে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলোই বলেছেন সাইফুল বারী টিটু।

এদিকে বাঘিনীদের কোচ বক্তব্যের সূচনায় বলেন, ‘শুরুতে কঠিন ছিল খেলা। ফরোয়ার্ড লাইনে ওদের ১১, ১২, ৭ ও ৯ নম্বর জার্সিধারী বেশ ক্ষিপ্রগতির ছিল। বিশেষ করে নয় নম্বর জার্সিধারী রাউল। আমাদের মাঝমাঠে বলের নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছিল। যার কারণে নেহা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভালো শট নিয়েছিল। ওখান থেকে ফেরার কাজটা মেয়েরাই করেছে। আমরা সাধারণত যেভাবে আক্রমণ তৈরি করি, সেই জায়গা বড় করার চেষ্টা না করায় বলের দখল হারাচ্ছিল।’

প্রথমার্ধের পর খেলায় কৌশলগত পরিবর্তন আনাটা কাজে লেগেছে বলে জানালেন টিটু। ফরোয়ার্ড উমেলাহ মারমার জায়গায় ডিফেন্ডার রুমা আক্তারকে নামানো সেই কৌশলের অংশ ছিল বলে জানান। ‘আমার দ্বিতীয়ার্ধে বল নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার ছিল। এখানে রুমা নামার পর কিছুটা ভারসাম্য তৈরি হয়। প্রথমার্ধে ওরা কর্ণার পাচ্ছিল। আমরা পাচ্ছিলাম না। দ্বিতীয়ার্ধে মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়েছে। আমরা সুযোগ নিয়েছি।’

আগের খেলায় জোড়া গোল পাওয়া মোসাম্মৎ সাগরিকা ভারতের সঙ্গে মাঠে ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা ফুটবলারের পা থেকেই আসে গোল। নাটকীয় জয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়। দলের সেরা তারকা হয়ে ওঠা ফুটবলারকে নিয়ে টিটুর ভাষ্য, ‘সাগরিকা যখন মাঠে জায়গা পাওয়া শুরু করল, তখন ওর নিজের খেলাটা খেলতে পেরেছে। এখানে আমার নির্দেশনা ছিল । প্রতিপক্ষের ক্রসটা বন্ধ করতে চেষ্টা করেছি।’

নেপালের বিপক্ষে গোল পাওয়া মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার আবারো মাঠে চেনান নিজের জাত। শক্তিশালী ভারতের ফুটবলারদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে রাখেন কার্যকরী ভূমিকা। কোচের কণ্ঠে তাকে নিয়ে ঝরেছে প্রশংসা। বললেন, ‘মুনকি দুর্দান্ত। তাকে ফলস নাইন পজিশনে খুব ভালো।’

এদিকে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দলের খেলোয়াড়দের প্রতি কি বার্তা ছিল, সেটিও জানান বাঘিনীদের কোচ। পরিষ্কারভাবেই বলেছিলেন, ‘তোমরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারছ না। যাও নিজেদের খেলাটা খেলার চেষ্টা কর।’ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে জয়টাই কাম্য হবে বলেই মন্তব্য করেন টিটু। যদিও ভারতকে হারানোটা যে বিশেষ কিছু, সেটিও স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতকে হারানো অবশ্যই বিশেষ কিছু। সেটা ক্রিকেটেও অর্থ বহন করে, ফুটবলেও তাই। ভারত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলেছে। তাদের দল অবশ্যই ভালো। এমন দলের বিপক্ষে জেতা অবশ্যই দারুণ বিষয়।’ আগামী মঙ্গলবার লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আসর থেকে ছিটকে যাওয়া ভুটান। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে নিয়মিত খেলতে থাকা ফুটবলারদের বিশ্রাম দেয়ার ইঙ্গিতটাও দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের কোচ।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস